Posts

Showing posts from 2013

পনির তৈরীর কলাকৌশল

Image
পনির তৈরীর পদ্ধতি হল বিজ্ঞান ও শিল্পের সমন্বয়।পনির প্রস্তুকারকেরা pH লেভেলের পরিমাপের উপর নির্ভর করে ও পনির নির্মাতা তার অভিজ্ঞতালব্ধ নিজস্ব ধারণা থেকে ছাঁচে ঢালা পনিরের গন্ধ শুকে, স্পর্শ করে এবং দেখেই সে পনির নির্মান করে আসছে। পনির তৈরির পদ্ধতিতে রয়েছে বিভিন্নতা, তবে দুধ থেকে পনির তৈরির ক্ষেত্রে মূলত ছয়টি প্রাথমিক ধাপ অনুসরন করা হয়। ১. অম্লত্বকরনঃ পনির তৈরিতে দুধকে ল্যাকটিক এসিডে রূপান্তরের জন্যে পনিরের বীজ মেশানো হয়। এই প্রক্রিয়াটি দুধের এসিডিটি লেভেল পরির্বতন করে এবং তরল দুধকে সলিড আকারে পরিবর্তন শুরু করে। ২. জমাটকরনঃ দুধের জমাট বাধার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্নিত করার জন্য পূনরায় এক প্রকার এনজাইম (Rennet) যোগ করা হয়। ৩. দৈ ও দৈ এর পানি পৃথকীকরণঃ ছুরি অথবা অন্য কিছু দ্বারা জমাট বাধা দৈ কেটে এনে একটি রেক-এ রাখা হয়। এভাবে দৈ থেকে পানি বের করে দেয়া হয়। সাধারনত, যত ছোট করে দৈ গুলো কাটা হবে পনির তত শক্ত হবে। ৪.  লবনাক্ত করনঃ  পনিরে লবন মেশানো হয় এর স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধির জন্য। এছাড়া লবন পনির কে নষ্ট হওয়া থেকে দীর্ঘদিন রক্ষা করে। লবন পনিরের উপরে একটি আস্তরন...

ইলিশ কাসুন্দি

Image
উপকরণঃ    ইলিশ মাছ ৬ টুকরা, কাসুন্দি ৩ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ ৫-৬টা। প্রণালীঃ সব উপকরণ দিয়ে মাছ মাখিয়ে ১ ঘন্টা রাখতে হবে। দেড় কাপ পানি দিয়ে চুলাতে দিতে হবে। ঝোল কমে তেলের উপর আসলে নামাতে হবে।

কাঁচকলা ও ইলিশ মাছের ভর্তা

Image
[ছয়জনের জন্য পরিবেশন] উপকরণ: কাঁচকলা ২টি (মাঝারি), ভাজা ইলিশ মাছ ২ টুকরা (কাঁটা ছাড়ানো), শুকনো মরিচ ভাজা ২টি, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ২ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো। প্রণালি: কাঁচকলা ডুবো পানিতে সেদ্ধ করুন। কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে রাখুন। এবার ইলিশ মাছ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও তেল একসঙ্গে মাখুন। মাখা হলে কাঁচকলা দিয়ে ভালো করে মেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।

স্মোকড হিলসা

Image
উপকরণ: বড় ইলিশ মাছ একটি, ভিনেগার ১ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস আধাকাপ, লবণ সামান্য, সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ। প্রণালি:   ১. মাছের আঁশ ছাড়িয়ে মাথা কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে দুই পিঠের মাছের মাঝের কাঁটা থেকে ছুরি দিয়ে আস্ত ছাড়িয়ে নিতে হবে। ২. লবণ, ভিনেগার, ফিশ সস ৩ টেবিল চামচ, টমেটো সস, তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাছের গায়ে মাখিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। ৩. মাছ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে ১৮০০ সে. তাপে ২৫-৩০ মিনিট বেক করতে হবে। ৪. ওভেন থেকে মাছ বের করে চপিং বোর্ড বা রুটি বেলার পিঁড়ির ওপর মাছের চামড়ার দিক নিচে রেখে ছুরি দিয়ে মাছের গায়ে তিন-চারটি লম্বা দাগ ও তিন-চারটি তেরছা দাগ কেটে টেনে কাটা বের করতে হবে। ৫. এবার বাকি টমেটো সস, গোলমরিচ গুঁড়ো মাছের গায়ে লাগিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে কয়লার আগুনে ২০-২৫ মিনিট রেখে রোস্ট পটেটো বা সেদ্ধ সবজি এবং ওয়াইসস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

শজনে ডাঁটা-ডাল

Image
উপকরণ : মসুর ডাল এক কাপ, শজনে ডাঁটা ৫০০ গ্রাম, লাল টমেটো চারটি (মাঝারি আকারের), পেঁয়াজ কুচি দুই টেবিল চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি চারটি, সরষের তেল দুই টেবিল চামচ, ধনে পাতা দুই টেবিল চামচ। প্রণালী : সব একসঙ্গে খুব ভালো করে মেখে দুই কাপ পানি দিয়ে চুলায় দিতে হবে। ডাল সেদ্ধ হবে এবং দেখতে গোটা গোটা থাকবে এমন অবস্থায় নামিয়ে নিতে হবে।

কাঁচা আমের সালাদ

Image
উপকরণ: কাঁচা আম কুচি করে কাটা আধা কাপ, গাজর কুচি করে কাটা আধা কাপ, চিকেন সিদ্ধ ঝুরি করে কাটা আধা কাপ, চিংড়ি মাছ আধা কাপ, বিট লবণ গুড়া এক চা চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, মাস্টার্ড পেস্ট ১ টেবিল চামচ, সাদা গোল মরিচ গুড়া আধা চা চামচ। প্রস্তুত প্রণালী: কাঁচা আম কুচি করে কেটে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে টক বের করে নিন। চিংড়ি মাছ সিদ্ধ করে নিন। মুরগীর মাংস, লবণ ও সাদা গোল মরিচ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ মুরগী, চিংড়ি মাছ, বিট লবণ, আম, লবণ, মাস্টার্ড পেস্ট, চিনি সব এক সাথে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কাঁচা আমের সালাদ।

ইলিশ পাতুরি

Image
উপকরণ : ইলিশ মাছ ৪ টুকরো, সাদা সরষে বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ, আস্ত কাঁচামরিচ ৪টা, আদা বাটা ১ চা চামচ, হলুদ বাটা কোয়ার্টার চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো। প্রণালী : ইলিশ টুকরায় সব মসলা মিশিযে ১০ মিনিট রাখতে হবে। মাখানো মাছ লাউপাতায় মুড়ে দিন। মুড়ানোর সময় ১টা করে কাঁচামরিচ দিয়ে দিন। ফ্রাইপ্যানে গরম তেলে অল্প আঁচে ভাজতে হবে। এবার ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

কাঁচা আমের লাচ্ছি

Image
উপকরণ: আম ১ কাপ, কমলার রস আধা কাপ, চিনি কোয়ার্টার কাপ, টক দই ২ টেবিল চামচ, বরফ কুচি ৪ টুকরা, গোলাপ ফুলের পাপড়ী ৪/৫ টা, মধু ২ চামচ। প্রস্তুত প্রণালী: কাঁচা আম ছিলে পরিস্কার করে ধুয়ে কিউব করে কেটে ব্লেন্ডারে অল্প পানি দিয়ে কিছুক্ষন ব্লেন্ড করুন। এবার বরফ কুচি, চিনি, টক দই, কমলার রস ও মধু মিশিয়ে আরো কিছুণ ব্লেন্ড করুন। গ্লাসে নিয়ে কিছুটা গোলাপের পাপড়ী ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

আমের ভর্তা

Image
উপকরণ: আম কুচি ১ কাপ, কাসুন্দি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টি (টালা গুঁড়া), লেবুর রস ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো। প্রণালি: আম কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। লবণ দিয়ে মাখিয়ে, চিপে পানি ফেলে নিতে হবে। এবার আমের সঙ্গে সব মাখিয়ে ভর্তা তৈরি করতে হবে।

সরিষা ইলিশ

Image
উপকরণ: ইলিশ মাছ একটি, সরিষা বাটা, টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি কয়েক টুকরা, লবণ পরিমাণ মতো, হলুদ বাটা ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, ধনে পাতা এক আটি। প্রস্তুত প্রণালী: ইলিশ মাছ ফালি করে লবণ দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। মাথা ও লেজ বাদ দিয়ে মাছের খণ্ডগুলো অর্ধেক লবণ হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিন। চুলার কড়াইতে তেল দিয়ে কাঁটা পেঁয়াজগুলো দিয়ে ৩ মিনিট নেড়ে বাটা সরিষা, হলুদ মরিচ বাটা ও লবণ দিয়ে আরো ২ মিনিট কষিয়ে নিন। এবার মাছের ফালি গুলো দিয়ে ৮ মিনিট রান্না করলেই তৈরি হবে সুস্বাদু সরষে ইলিশ। সাদা ভাত, খিচুরী, পোলাও ও যেকোন কোপ্তার সাথেই বেশ ভাল যায় ডিসটি।

আম-ডাল

Image
উপকরণ: মসুর ডাল ১ কাপ, কাঁচা আম ১টি (টুকরা করে কাটা), পেঁয়াজ ১টি, রসুন কুচি ২ কোয়া, কাঁচামরিচ ২টি (ফালি করা), লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, হলুদ ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ১টি। প্রণালি: ডালের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ, লবণ, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে আম দিতে হবে। আম সেদ্ধ হলে নামিয়ে তেল, শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে রসুন কুচি দিতে হবে। একটু লাল হয়ে এলে ডালে আম দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে।

নুডলস পিৎজা

Image
উপকরণ: ইনস্ট্যান্ট নুডলস ২ প্যাকেট গ্রেটেড চিজ আধা কাপ ডিম ৪টি গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ টমেটো সস আধা কাপ লবণ স্বাদমতো অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ অরিগ্যানো ১ চা চামচ ধনে পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ যেভাবে তৈরি করবেন: নুডলস প্যাকেটের মসলা দিয়ে সিদ্ধ করে ঠাণ্ডাকরুন। ডিম ফেটিয়ে নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশান। একটি ওভেন প্রুফ বাটিতে তেল মেখে নিন। এরপর মাখানো উপকরণ বাটিতে ঢালুন। মাইক্রোওভেনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ঢাকনা খোলা রেখে ৫ মিনিট রান্না করুন।

ক্রাউন পিৎজা

Image
উপকরণ: বিফ পেপেরনি বা গরুর মাংসের পাতলা টুকরা ১ প্যাকেট। এটি সুপারশপগুলোতে পাবেন। অথবা বাড়িতে মাংস শুকিয়ে পাতলা টুকরা করে বানিয়ে নিতে পারেন সসেজ ১ প্যাকেট ক্যাপসিকাম ১টি বড় পেঁয়াজ ২টি টমেটো ২টি বাটন মাশরুম ৮-১০টি মোজারেলা চিজ কুচি ২ কাপ গোলমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ অরিগেনো ২ টেবিল-চামচ পাপরিকা বা শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ ইতালিয়ান সিজনিং ১ টেবিল-চামচ মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ কালো ও সবুজ জলপাই কয়েকটি করে প্রণালি:  ডো তৈরির রেসিপি অনুযায়ী খামির বানিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর পিৎজা খামির একবার মেখে পছন্দমতো ভাগ করে খামির দিয়ে মোটা রুটি বেলে নিন। পিৎজা প্যানে তেল লাগিয়ে, প্যানে রুটি বসিয়ে ফেটানো ডিমের প্রলেপ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলার পাশে রাখুন। রুটির ওপর পিৎজা সস মেখে তার ওপর ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, মাশরুম কুচি, সসেজ, পেপেরনি বিছিয়ে দিন। এর ওপর কিছু মোজারেলা পনির, গোলমরিচের গুঁড়া, পাপরিকা, অরিগেনো ও ইতালিয়ান সিজনিং ছিটিয়ে দিয়ে দিন। এর ওপর আবারও পেপারনি, সসেজ, কালো ও সবুজ জলপাই দিয়ে সাজিয়ে ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ২০-২৫ মিনিট বেক ক...

মজাদার পিৎজা

Image
পিজ্জা বানাতে আপনাকে তিনটে ধাপে কাজ করতে হবে ১/পিজ্জার জন্য খামির বা ময়ান বানানোঃ চলুন দেখি কি করে আমরা পিজ্জার জন্য খামির বা ময়ান বানাতে পারি। আমার এই বিষয়ে একটা সম্পুর্ন পোষ্ট আছে।নিচের  লিঙ্কটি ওপেন করে দেখে আসতে পারেন।   ডো/খামির/ময়ান (পিজা, বনরুটি বা নানরুটি বানাতে পারেন খুব সহজেই)   ২/পিজ্জার জন্য যে কোন একটা ইনস্টাফ বানানোঃ এবার আসুন পিজ্জার জন্য ইন সাইড স্টাফ আপনার পছন্দ মত কিছু সবজি নিয়ে কিংবা সবজির সাথে কিছু কিমা নিয়ে এমন একটা স্টাফ বানাতে পারেন। এই ধরনের স্টাফ বানানো তেমন কোন ব্যাপারই না। আমরা যে ভাবে বাসায় সবজি বা মিক্স ভেজিটেবল রান্না/তৈরী করি এমন কিছু করলেই চলবে। নিরামিষ ভোজীরা শুধু সবজি দিয়ে আর আমিষ ভোজীরা তাদের পছন্দ মত যে কোন একটা স্টাফ বানিয়ে নিতে পারেন। এখানে শুধু কিছু বিফ, পেঁয়াজ এবং ক্যাপ্সিকাম দিয়ে দেখানো হয়েছে। ৩/পিজ্জা বানিয়ে ওভেনে প্রবেশঃ এটা মুল পর্ব। -ওভেন ট্রেতে হালকা তেল লাগিয়ে ময়ানকে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে বড় গোলাকার করে নিন। সাইডে বাঁধের মত করে পাড় তুলে দিন। -কাঁটাচামচ দিয়ে এমন ক...

ডো/খামির/ময়ান (পিজা, বনরুটি বা নানরুটি বানাতে পারেন খুব সহজেই)

Image
আজ কাল নেটে অনেকেই রেসিপি খুঁজেন। অনেক বাংলাদেশী বাঙ্গালী সারা পৃথিবীতে আছেন যারা আমাদের খাবার গুলো খেতে চান কিংবা বিদেশী খাবার গুলোর সহজ রেসিপি চান যাতে করে বাসায় বানাতে পারেন। আজ আপনাদের একটা ময়দা দিয়ে খামির/ময়ান বা ডো দেখাবো। যা দিয়ে আপনারা খুব সহজে পিজা, বনরুটি বা নানরুটি বানাতে পারেন । চলুন ময়ান/খামির বা দো দেখে নেই। হাত দিয়ে একটু বেশী মলে মলে খামির নরম করতে হয় । এতে হাতের শক্তির একটু বেশী ব্যবহার, এই যা! উপকরণঃ - ২ কাপ ময়দা - ২ চা চামচ ইষ্ট (ইষ্ট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, কুসুম গরম পানিতে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে) - ২ চা চামচ চিনি - ২ টেবিল চামচ গুড়া দুধ - ২ টেবিল চামচ খাঁটি তেল বা ঘি (ঘি না থাকলে নাই) - লবণ পরিমাণ মত। - পানি পরিমাণ মত। প্রণালিঃ   তেল ছাড়া বাকী উপকরণ গুলো সব একটা পাত্র নিন। হালকা গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে মিশিয়ে কাই করতে থাকুন। ঠিক এই পর্যায়ে আসার আগে তেল মিশিয়ে ভাল করে মাখতে থাকুন। একটা পাত্রে কিছু গরম পানি করে (চুলা নিবিয়ে) পাত্রের উপরে বানানো ময়ান রেখে দিন। প্রায় আধ ঘণ্টা পানির তাপে রাখলে খামির/ময়ান ফুলে উঠবে।...

চকলেট কেরামেল পুডিং

Image
উপকরণ: ডিম ৬টি, চিনি ১ কাপ, পানি ১ কাপ, চকলেট সিরাপ ১ টেবিল চামচ, চকলেট এসেন্স ১ চা চামচ, কেরামেল ১ টেবিল চামচ, গুড়া দুধ ১ কাপ। যেভাবে তৈরি করবেন: ডিম, চিনি, পানি ও গুড়া দুধ একসাথে ৫ মিনিট বিট করে নিন। তার সাথে চকলেট সিরাপ চকলেট এসেন্স মিক্স করুন। ২/৩ মিনিট কাটা চামচে নেড়ে নিন। যে পাত্রে চকলেট কেরামেল পুডিং জমাবেন সেই পাত্রে চিনি ও অল্প ঘি ছিটিয়ে ১ মিনিট চুলায় বসিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কেরামেল। এবং পুডিং দিন ১০ মিনিট ডাবল স্টিম করুন। পুডিং ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন। টিপস: গরম পুডিং পাত্র থেকে উল্টাতে গেলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অতএব পুডিং ঠান্ডা করে ঢালুন।

গাজরের পুডিং

Image
                                                                                                উপকরণ: ঘন দুধ ২ কাপ, ডিম ৮টি, চিনি দেড় কাপের একটু বেশি, গাজরকুচি ৪ টেবিল চামচ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ (গোলাপজলে ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন), কাজুবাদাম (আধভাঙা) ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, বাদাম ও পেস্তাকুচি ১ টেবিল-চামচ।  প্রণালি: এক লিটার দুধকে জ্বাল দিয়ে ঘন করে দুই কাপ করুন। একটি বাটিতে ডিম ভালো করে ফেটে রাখুন। বড় স্টিলের টিফিন বাটিতে ২ টেবিল-চামচ চিনি ছিটিয়ে দুই টেবিল-চামচ পানি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। ফুটে ওঠার পর বাটিটা নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে ক্যারামেল বাটির নিচে জমে যাবে। অন্য একটি পাত্রে ঘন দুধের সঙ্গে ফেটানো ডিম ও চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর তাতে ঝুরি করা গাজর, গোলাপজলে ভেজানো জাফরান, আধভাঙা...

মজাদার পুডিং

Image
পুডিং হবে প্রেসার কুকারে, আর যা যা লাগবেঃ দুধ - ১/২ লিটার ডিম - ৫ টা চিনি - ১/২ কাপ বা পরিমানমতো ঘি (গরুর) - ১ চা চামচ প্রণালিঃ ১/২ লিটার দুধ নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন, খেয়াল রাখবেন দুধে যাতে স্বর বসে না যায়। তাই ঘন ঘন নাড়তে হবে। দুধ কমে যখন প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। অন্য পাত্রে ৫ টা ডিম ভাল করে ফেটে নিন, এইবার এর সাথে চিনি মেশান। সবটা চিনি গলে যাবে না, তবুও যতটা সম্ভব ভাল করে মেশান। মিশ্রণটি জ্বাল দেয়া ঠান্ডা দুধে দিন, ১ চা চামচ ঘি দিন। ভাল করে ফেটে নিন, ...ভাল করে। এইবার পছন্দসই একটি পাত্র (প্রেসার কুকার উপযোগী) চুলায় চাপিয়ে তাতে সামান্য চিনি দিয়ে একটু লালচে (পুড়ে) করে নিন, পুডিং যখন উপুড় করে পরিবেশন করবেন তখন দেখতে ভাল দেখাবে। প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে এর মধ্যে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে তার উপর পুডিং এর মিশ্রণ সহ ঢাকনা দিয়ে পাত্রটি দিন। ৩/৪ সিটি পর্যন্ত রান্না হতে দিন। এই সময়ে পাত্রের ঢাকনা তুলে দেখতে পারেন পুডিং জমেছে কিনা। মিনিট বিশেক এর মত লাগবে পুডিং হতে। আর প্রেসার কুকার না হলেঃ একটা পাত্রে পানি গরম করে, পাত্রটির উপর পুডিং এর...

গরুর মাংসের দোপেঁয়াজা

Image
উপকরণ: গরুর গোশত : ১ কেজি, পেঁয়াজ মোটা মোটা কাটা : ২৫০ গ্রাম, কাঁচামরিচ বড় টুকরো : ১০/১২টি, আদা বাটা : ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া : ১ চা চামচ, এলাচ : ২ টুকরো, দারুচিনি : ২ টুকরো, তেজপাতা : ২টা, লং : ৪টা, গোলমরিচ : ৫/৭টি, ভিনেগার : ৩ টেবিল চামচ, তেল : আধা কাপ, লবণ : আন্দাজমেতা, টেস্টিং সল্ট : ১ চা চামচ। পদ্ধতি: গোশত ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে সামান্য তেলে মেখে ১ ঘন্টা রেখে দিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে গোশত মাখাটা ঢেলে একটু কমিয়ে অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হলে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ দিয়ে কষিয়ে পেঁয়াজটা নরম হয়ে উঠলে, মাখা মাখা হলে নামিয়ে আনুন।

গার্লিক ম্যাংগো চিকেন

Image
উপরকণ: হাড় ছাড়া মুরগির বুকের মাংস ৪টি (আনুমানিক ৫০০ গ্রাম), কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, অরিগ্যানো, বেসিল, রোজমেরি ইত্যাদি সিকি চামচ, আমের রস (প্যাকেটের) ২ টেবিল চামচ+১ কাপ, রসুন কুচি ৪ কোয়া, পাকা আম (টুকরো করা) ২টি, চিনি ও লবণ ১ চা-চামচ, সিরকা আধা চা-চামচ অথবা লেবুর রস আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ+সিকি চামচ ও সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ। প্রণালি: মুরগির বুকের টুকরোগুলো হাড় বাদ দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে একটি ট্রেতে নিয়ে ২-৩টি আঁক দিয়ে (ছুরি দিয়ে) নিন। আধা চা-চামচ লবণ, সিরকা অথবা লেবুর রস আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ২ টেবিল চামচ আমের রস দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার মাংসের দুই পিঠেই ভালো করে কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে মিশিয়ে নিয়ে আধা ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে মেরিনেট করা টুকরোগুলো ছেড়ে দুই পিঠই একটু লাল করে ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। একই তেলে রসুন কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন ও পাকা আমের টুকরোগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে অরিগ্যানো, বেসিল, রোজমেরি, আধা চা-চামচ লবণ ও চিনি দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন। তারপর আমের রস দিয়ে নেড়...

ভুনা খিচুড়ি

Image
উপকরণ: মুগডাল ভাজা ১ কাপ, পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, ঘি বা তেল আধা কাপ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি সিকি কাপ, তেজপাতা ১টি, লবঙ্গ ১টি, দারুচিনি ৩ টুকরা, ফোটানো গরম পানি ৫ কাপ, লবণ ১ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়ো স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৪টি, লাল পাকা মরিচ ২টি। প্রণালি: চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল বা ঘি গরম করে তেজপাতা ও গরম মসলার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ সোনালি রং হয়ে এলে সেখান থেকে অর্ধেক তুলে রেখে আলাদা রাখুন। এবার হাঁড়িতে বাকি পেঁয়াজের সঙ্গে আদা বাটা, হলুদ-মরিচের গুঁড়ো, চাল ও ডাল একত্রে দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভাজুন। তারপর ফোটানো গরম পানি ও লবণ দিয়ে নাড়ুন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ও লাল পাকা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। মৃদু আঁচে ২০-২২ মিনিট ফুটিয়ে ঢাকনা খুলে আলতোভাবে একবার নেড়ে আবার ঢেকে পাঁচ মিনিট দমে রাখুন। এবার ঢাকনা খুলে ওপর থেকে ২ টেবিল-চামচ ঘি ছিটিয়ে দিয়ে সার্ভিং ডিশে বেড়ে কিছু বেরেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম রঙিন ভুনা খিচুড়ি।

শিকামপুরী কাবাব

Image
উপকরণ: মিহি কিমা ২ কাপ/ হাফ কেজি, পেঁয়াজ কুচি (মিহি কুচি) ৪টা/ ৮ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট হাফ চা চামচ, লবণ হাফ চা চামচ, ডিম ১টা, বিস্কুটের গুঁড়ো পরিমাণ মত, সয়াসস ১ টেবিল চা চামচ। প্রণালী: পেশা মাংসের সাথে সব উপকরণ ভালভাবে মেখে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটিকে ৪ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগকে পাতার সাইজ করে বিস্কিটের গুঁড়োয় মেখে ডিপ ফ্রিজে হাফ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

ক্রিম পুডিং

Image
উপকরণ: ঘন দুধ ২ কাপ, চিনি ১ কাপ, মুরগির ডিম ৪টি, এলাচ গুঁড়ো ২টি, ক্রিম ২ টেবিল-চামচ। প্রণালি: ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করে নিতে হবে। ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, এলাচ গুঁড়ো ও ক্রিম ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভাপে সেদ্ধ অথবা প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভাপে রাখতে হবে। পুডিং নিজে থেকে ঠান্ডা হতে দিতে হবে। ছুরি দিয়ে ছাঁচের চারপাশে ঘুরিয়ে কেটে নিতে হবে। প্লেট ছাঁচের মুখে চেপে ধরে উল্টে দিতে হবে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করা যায় মজাদার ক্রিম পুডিং।

বোরহানি

Image
উপকরণ: টক দই ২ কেজি, সরিষা গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, (পরিমাণ মতো) বিট লবণ ১ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচবাটা ১ চা-চামচ, চিনি ৩ টেবিল চামচ (পরিমাণ মতো), জিরা টালা গুঁড়া ২ চা-চামচ, ধনে টালা গুঁড়া ২ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, পানি দইয়ের ঘনত্ব বুঝে আন্দাজমতো, বোরহানি বেশি পাতলা হবে না। প্রণালি: দুই কাপ পানির সঙ্গে সব মসলা মিশিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। সব উপকরণ একসঙ্গে খুব ভালোভাবে মিলিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে বোরহানি পরিবেশন করতে হবে। টক দইয়ের টকের আন্দাজ বুঝে তেঁতুলের মাড় দিতে হবে।

কিমা কাবাব

Image
উপকরণ: সেদ্ধ করা গরুর মাংসের কিমা ২ কাপ, মিহি কুচি সেদ্ধ করা সবজি (গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মাশরুম) ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ মিহিকুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, ফেটানো ডিম ২টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো এবং ভাজার জন্য তেল দিতে হবে। প্রণালী: বিস্কুটের গুঁড়া ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার মিশ্রণ থেকে নিয়ে কাবাবের মতো করে ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়া মেখে ডুবো তেলে ভেজে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কমলালেবুর পুডিং

Image
উপকরণঃ পাউরুটির শুধু সাদা অংশটা – ১৫০ গ্রাম বড় কমলালেবু – ২ টো মাখন – ৭৫ গ্রাম ডিমের কুসুম – ৪ টে কমলালেবুর মার্মালেড – ৫ টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার – ৭৫ গ্রাম ময়দা – ৭৫ গ্রাম  বেকিং পাউডার – ১/৪ চা চামচ কিসমিস – ৭৫ গ্রাম মনক্কা – ৭৫ গ্রাম চেরি – ৭৫ গ্রাম কমলালেবুর খোসা কোরানো – ১/৪ চা চামচ  প্রণালীঃ রুটি ছোটো ছোটো চৌকো টুকরো করে একটা পাত্রে রাখুন। কমলালেবুর খোসা কুরিয়ে নিন ১/৪ চা চামচ। এবারে কমলালেবুর রস করে নিন। অন্তত ৮ টেবিল চামচ লাগবে, কম হলে জল মিলিয়ে নেবেন।  কমলার রস এবং মার্মালেড গরম করে রুটির টুকরোতে ঢেলে দিন। ১০ মিনিট ভিজতে দিন। মাখন,  কমলালেবুর কোরানো খোসা, চিনি- একত্রে ফেটিয়ে নিন ভাল করে। এবারে ময়দা, ডিম, বেকিং পাউডার, কিসমিস, মনক্কা, চেরি সব একে একে চিনি মাখনের মিশ্রণে মেশান। সবশেষে রুটি এবং মার্মালেডের মিশ্রণে মিশিয়ে নিন। এবার বেকিং টিন তৈলাক্ত করে নিয়ে মিশ্রনটি তাতে ঢালুন। এবারে দু ঘন্টা ধরে ভাপে রাখুন। খুব বেশি আগুনের তাপে রাখবেন না। ঢিমে আঁচে রাখুন।

মুরগির আচার মাংস

Image
উপকরণ : ফার্মের মোরগ ১টি ছোট ছোট টুকরা করা, পেঁয়াজ ২ গ্রাম, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, টক দই আধা কেজি, হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, তৈল আধা লিটার (সরিষা), কাঁচা মরিচ ১৫-২০টি (আস্ত), পাঁচফোড়ন ১ টেবিল চামচ, তেজ পাতা ৪-৫টি, পানি- পরিমাণমতো, গরম মসলা, এলাচ ও দারুচিনি আস্ত ৪-৫টি। প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে একটি পাতিলে সরিষা তেল গরম করে তাতে পাঁচফোড়ন, তেজ পাতা এবং গরম মসলা দিয়ে নেড়ে তাতে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নেড়ে অল্প ভাজা ভাজা করে একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, লবণ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং অল্প পানি দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষাতে হবে। এরপর তাতে ফার্মের মোরগ দিয়ে কষিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে তাতে টক দই এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে অল্প পানি দিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট চুলায় ঢেকে রেখে দিতে হবে। ১৫ মিনিট পরে নামাতে হবে মুরগির আচার মাংস। একটি বড় ডিসে ঢেলে মুরগির আচার মাংস পরিবেশন করতে হবে।

খাসির মাংসের রেজালা

Image
                    উপকরণ: খাসির মাংস ৩ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, আদাবাটা ৩ টেবিল চামচ, রসুনবাটা দেড় টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচবাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া (লাল মিষ্টি মরিচ) ১ চা-চামচ, টক দই ১ কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, দারচিনি ৬ টুকরা, এলাচ ৬টি, আস্ত কাঁচামরিচ ৬-৭টি, তেল ১ কাপ, ঘি আধা কাপ। প্রণালি: আধা কেজি পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিতে হবে আর আধা কেজি পেঁয়াজ বেটে নিতে হবে। খাসির মাংস বড় টুকরা করে আদা, রসুন, লবণ দিয়ে মেখে রাখতে হবে। তেল, ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে মাখানো মাংস দিয়ে রান্না করতে হবে। কয়েকটি বলক এলে পেঁয়াজবাটা, হলুদ, মিষ্টি মরিচ, কাঁচামরিচ, টক দই, মিষ্টি দই দিয়ে কষাতে হবে। মাংস তেলের ওপর এলে পোস্তদানা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে এলাচ, দারচিনি দিয়ে গরম পানি দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেলের ওপর এলে আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে নামাতে হবে।

গরুর মাংসের কোরমা

Image
উপকরণ: গরুর মাংস দেড় কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজবাটা পৌনে ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা আধা টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আস্ত ছোট পেঁয়াজ ২০-২৫টি, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই ২ টেবিল চামচ, এলাচ ৬টি, দারচিনি ৮ টুকরা, ঘি আধা কাপ। প্রণালি: পেঁয়াজের খোসা ছিলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিতে হবে। মাংস মাঝারি আকারের টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে আদা, রসুন, লবণ দিয়ে মাখিয়ে তিন-চার ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে মাংস দিয়ে অল্প জ্বালে কষাতে হবে। বেরেস্তা মাংসের সঙ্গে মিশে গেলে পেঁয়াজবাটা দিয়ে অল্প জ্বালে রান্না করতে হবে। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাংস যেন তলায় না লাগে। ২০-২৫ মিনিট পর টক দই ও মিষ্টি দই দিতে হবে। দারচিনি, এলাচ, গোলাপজল দিয়ে ভুনতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে অল্প অল্প করে গরম পানি দিয়ে ভুনতে হবে মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংস সেদ্ধ হলে গোটা পেঁয়াজ দিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে নামাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাংস, পেঁয়াজ দুটোই সেদ্ধ হবে অথচ গোটা গোটা থাকবে।

ঘরেপাতা দই

Image
উপকরণঃ দুধ ১ কেজি, চিনি ১ মুঠো, সামান্য রং (দই জমানোর জন্য পুরোনো দই ২ টেবিল চামচ), দই জমানোর জন্য পাত্র। প্রণালীঃ ১ কেজি দুধ জ্বাল দিয়ে তিন পোয়া করে নিতে হবে। জ্বাল দেওয়ার সময় রং মেলাতে হবে। সামান্য গরম থাকতে পুরোনো দই দিয়ে খুব করে ফেটে দই পাত্রে ঢেলে গরম জায়গায় রেখে দিতে হবে। দই জমে গেলে ফ্রিজে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

ফালুদা

Image
               উপকরণ : চায়না ঘ্রাস ৫০ গ্রাম, সেদ্ধ করা নুডুলস ৫০ গ্রাম, ঘন দুধ ৫০ মিলি, যেকোনো ফলের রস ৫০ গ্রাম, পেস্তাবাদাম, কিসমিস কুচি পরিমাণমতো, চিনি ১০০ গ্রাম। প্রণালী : প্রথমে ঘন দুধের মধ্যে চায়না ঘ্রাস সেদ্ধ করে নিতে হবে চিনি দিয়ে। তারপর সেদ্ধ করা নুডুলস, ফলের রস একসাথে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর একটি গ্লাসে ঢেলে পেস্তাবাদাম, কিসমিস কুচি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন যেকোনো দিন বিকেলের নাস্তায়।

হাঁড়ি কাবাব

Image
উপকরণ: গরু বা খাসির মাংস ১ কেজি, তেজপাতা ১টি, টকদই সিকি কাপ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, পেঁয়াজের কুচি আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৬-৭টি, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা পেঁপেবাটা ১ টেবিল-চামচ, ধনেবাটা ১ টেবিল-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, বেরেস্তা সিকি কাপ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেল আধা কাপ, জায়ফল-জয়ত্রি আধা চা-চামচ, দারচিনি ২ টুকরা, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ ও লবঙ্গ ২ টুকরা। প্রণালি: মাংস পাতলা করে কেটে সব বাটা মসলা ও দই দিয়ে মাখিয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাখতে হবে। চুলায় দেওয়ার আগে মাখানো মাংস লবণ ও পেঁপেবাটা দিয়ে আবার মাখাতে হবে। চুলার তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি রং করে ভেজে তাতে মাংস, তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। মাংস তেলের ওপর এলে লেবুর রস, কাঁচামরিচ, জয়ত্রি-জায়ফলের গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া, বেরেস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।

ডিমের হালুয়া

Image
                     উপকরণঃ ডিম ৪টা, চিনি ১ কাপ, ঘন দুধ ১ কাপ, ঘি আধা কাপ, দারুচিনি ৩ টুকরা, এলাচ ২-৩টি, পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ। প্রণালীঃ ডিম কাঁটা চামচ দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। সব উপকরণ দিয়ে আবার ফেটে নিন। মিশ্রণ সসপ্যানে ঢেলে মৃদু আঁচে চুলায় দিন এবং দ্রুত নাড়তে থাকুন। লক্ষ রাখতে হবে, তলায় যেন ধরে না যায়। কিছুক্ষণ পর ডিম জমাট বেঁধে যাবে। পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে হালুয়ার ওপর পেস্তা বাদাম ও কিসমিস দিয়ে পরিবেশন করুন।

মুরগির মুলতানি কোরমা

Image
উপকরণ: দেশি মুরগি ২টি, পোস্তদানা বাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল-চামচ, ঘি ১ কাপ, হলুদ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, নারকেলের ঘন দুধ ৪ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪টি, দারচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টি, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল-চামচ। প্রণালি: হাঁড়িতে ঘি দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে আদা, রসুন, হলুদ, গরম মসলা ও লবণ দিয়ে কষিয়ে মুরগি দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। মুরগি কষানো হলে তাতে আধা কাপ নারকেলের দুধ একটু রেখে বাকিটা ঢেলে দিয়ে চিনি দিতে হবে। পোস্তদানা বাটা আধা কাপ নারকেলের দুধে দিয়ে তার সঙ্গে মিশিয়ে ছেঁকে মুরগির ঝোলের সঙ্গে মিশিয়ে তেঁতুলের মাড় মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর নামাতে হবে।

খাসির বাদশাহি রেজালা

Image
উপকরণ: খাসির মাংস ৩ কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল-চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল-চামচ, শাহি জিরা বাটা ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ (ঘিয়ে ভেজে গুঁড়া করা) ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, ঘি এক কাপের সিকি ভাগ, টকদই এক কাপের সিকি ভাগ, দারচিনি ৬ টুকরা, লবঙ্গ ৮টি, বেরেস্তা আধা কাপ, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৮টি, আলুবোখারা ৮টি, ঘন দুধ ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, বাদাম বাটা ৪ টেবিল-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, তেল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো; মিষ্টি দই আধা কাপ, ছোট এলাচ ৬টি, তেজপাতা ৪টি, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেঁতুলের মাড় স্বাদমতো, টমেটো সস সিকি কাপ, কেওড়া ১ টেবিল-চামচ, মালাই আধা কাপ। প্রণালি: মাংস বড় টুকরো করে টকদই ও মিষ্টিদই, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাখতে হবে। হাঁড়িতে তেল-ঘি গরম করে গরম মসলা ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা কষিয়ে মাংস দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। মাংস তেলের ওপর এলে গরম পানি দিতে হবে। এরপর আলুবোখারা দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে এলে বাদাম বাটা, দুধ, কেওড়া ...

খাসির কাচ্চি

Image
                    উপকরণ: খাসির মাংস, চাল, তেল, ঘি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, গরম মসলা, শাহি জিরা, টকদই, দুধ, লবণ পরিমাণমতো। শুকনা মরিচ, কাঁচামরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাচ্চির মসলা, লবণ পরিমাণমতো। প্রণালি: কাচ্চির মাংসে গরম মসলা, কাচ্চির মসলা মেখে কিছু সময় রাখতে হবে। চাল আলাদাভাবে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর পাতিলে পরিমাণমতো তেল, আদা, রসুন, টকদই, ভাজা পেঁয়াজ, আলুবোখারাসহ সব গরম মসলা দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে দিতে হবে। এর ওপরে চাল দিয়ে দিতে হবে। চাল দেওয়ার পর কোনো নাড়াচাড়া না করে দীর্ঘ সময় ঢেকে রাখতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ধোঁয়া ও ভাপ বের হওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর খাসির কাচ্চি তৈরি হয়ে যাবে।

মোরগ পোলাও

Image
উপকরণ: চাল, একটি মুরগি (চার টুকরা করে কেটে নিতে হবে), পেস্তা বাদাম গুঁড়া, আলুবোখারা, তেল, ঘি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ছোট এলাচ, দারচিনি, জয়ত্রি, জায়ফল, লবঙ্গ, শাহি জিরা, টক দই, দুধ, কাঁচামরিচ, সাদা গোলমরিচ, লবণ পরিমাণমতো। শুকনা মরিচ, কাঁচামরিচ, আদা, রসুন, ভাজা পেঁয়াজ। প্রণালি: ভালোভাবে পরিষ্কার করে টুকরো করা মুরগি ৩০ মিনিট লবণপানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। লবণপানি থেকে তুলে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। পেঁয়াজ, আদা, রসুন বাটা, গরম মসলা গুঁড়া, দুধ দিয়ে মুরগির মাংস মেখে কিছু সময় রাখতে হবে। পাত্রে মালাই, জায়ফলসহ বিভিন্ন মসলা দিয়ে আগুনের ওপর কিছু সময় রাখতে হবে। এতে মুরগির মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে। চাল আলাদাভাবে আধা সেদ্ধ করে দিতে হবে। মুরগি সেদ্ধ হয়ে গেলে মাংস রেখে দিতে হবে। আধা সেদ্ধ চাল মুরগি সেদ্ধ করা পানি ও তেলে রান্না করতে হবে। হয়ে এলে এর মধ্যে মুরগির মাংস ছেড়ে দিন। হয়ে গেল মোরগ পোলাও।

জালি কাবাব

Image
উপকরণ: গরু বা খাসির মাংসের কিমা। বুটের ডালের ছাতু, গরম মসলা, টক দই, রুটি, টোস্ট বিস্কুট, ডিম, পুদিনা ও ধনেপাতা। প্রণালি: বুটের ডালের ছাতু, গরম মসলা, টক দই, রুটি, টোস্ট বিস্কুট একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পুদিনা ও ধনেপাতা বেটে পেস্ট করে সব একসঙ্গে মেশাতে হবে। মেশানোর পরে সবকিছু এক করে খামিরের মতো করতে হবে। মেশানোর পর গোল গোল করে রাখতে হবে। ডিম ভেঙে তার মধ্যে গোল উপকরণটি ডুবিয়ে নিয়ে ডুবাতেলে ভাজতে হবে। তৈরি হয়ে যাবে জালি কাবাব।

আম-ছানার পুডিং

Image
উপকরণ: ছানা এক কাপ, ডিমের সাদা অংশ (দুটি ডিমের), গুঁড়ো দুধ- আধা কাপ, চিনি-আধা কাপ, পানি-আধা কাপ, এলাচগুঁড়া চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ ও পাকা আমের টুকরা (ছোট ছোট) দেড় কাপ। প্রণালী: আম ছাড়া ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। পুডিংয়ের ছাঁচে ক্যারামেল করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা উপকরণে আমের টুকরা মিলিয়ে ছাঁচে ঢেলে ভাপে জমিয়ে নিতে হবে। এতে ৩০-৪৫ মিনিট সময় লাগবে। ডিশে উল্টে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ভুনা মাংস (কালো ভুনা)

Image
উপকরণ: গরুর রানের মাংস হাড়ছাড়া ২ কেজি, ১ টেবিল-চামচ শুকনা মরিচের গুঁড়া, আধা টেবিল-চামচ হলুদের গুঁড়া, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, তেজপাতা ৪টি, ছোট এলাচ ৪টি, দারচিনি মাঝারি ৪ টুকরা, লবঙ্গ, লবণ অল্প, সরিষার তেল পরিমাণমতো । প্রণালি: টুকরা টুকরা করে মাংস কেটে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রান্না করার পাত্রে নিয়ে সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মাখাতে হবে। তারপর চুলায় দিয়ে অল্প আঁচে কাঠের কাঠি দিয়ে নাড়া দিয়ে রান্না করুন। মনে রাখবেন, পানি দেওয়া যাবে না। মাংস কালো না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে নাড়ুন। নামানোর আগে জয়ত্রি, জায়ফল, এলাচ, দারচিনি, জিরা ভেজে গুঁড়া করে দিন। মাংস কালো ও তেলতেলে হলে নামিয়ে রাখুন। স্বাদ বাড়াতে একাধিকবার অল্প আঁচে রাখুন। গরম গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন। পরিমাণে বেশি রান্না করলে ফ্রিজে রেখে দেবেন। খাবারের আগে দুই মিনিট ওভেনে গরম করে পরিবেশন করুন।

ভাজা মুরগি

Image
উপকরণ: ১ কেজির একটি মুরগি, জয়ত্রি, জায়ফল, শাহজিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ১ চা-চামচ, এলাচ ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, আদা, রসুন ও পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ, দুধ ১ কাপ, তেল পরিমাণমতো। প্রণালি: আস্ত মুরগি ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে, মুরগির বুকের দুই পাশ ছিদ্র করে রান আটকে দিতে হবে। মাথা, গলার দিক দিয়ে ভেতরে সব মসলা মাংসের সঙ্গে ভালোভাবে মাখাতে হবে। এবার একটি পাত্রে মসলা মাখানো মুরগি দুধ দিয়ে চুলায় দিন। দুধ শুকালে অন্য একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে ভাজতে হবে। লাল রং হয়ে এলে নামিয়ে পোলাও বা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

বাদামের হালুয়া

Image
উপকরণ: ভাজা চিনাবাদাম বাটা আধা কাপ, মাওয়া ২ কাপ, কাজুবাদাম বাটা সিকি কাপ, ঘি ৪ টেবিল-চামচ, জায়ফল গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, কাজুবাদাম কুচি আধা কাপ, কিশমিশ ২ টেবিল-চামচ। প্রণালি: ঘি গরম করে সব বাদাম বাটা, জায়ফল গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে চিনি দিয়ে নাড়তে হবে এবং অর্ধেকটা মাওয়া গুঁড়ো দিতে হবে। হালুয়া কড়াইয়ের গা ছেড়ে এলে কিশমিশ, কাজুবাদাম কুচি দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে বাকি মাওয়া মিশিয়ে ঘি মাখানো ডিশে ঢেলে ঠান্ডা হলে পছন্দমতো কেটে পরিবেশন ।

গাজরের দরবারি হালুয়া

Image
উপকরণ: গাজর কোরানো ২ কাপ, দুধ ৩ লিটার, ঘি ৪ টেবিল-চামচ, মালাই ১ কাপ, লাচ্ছা সেমাই ১ কাপ, চিনি ৪ কাপ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, গোলাপ এসেন্স সামান্য, কিশমিশ ও পেস্তাবাদাম কুচি পরিমাণমতো। প্রণালি: গোলাপ এসেন্স ও জাফরান ২ টেবিল-চামচ দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে। গাজর ১ লিটার দুধে জ্বাল দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে নিয়ে ঘি দিয়ে ভেজে রাখতে হবে। ২ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ১ লিটার করে চিনি দিতে হবে এবং ফুটে উঠলে ঘিয়ে ভাজা সেদ্ধ গাজর, লাচ্ছা সেমাই ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে হবে। ঘন হয়ে এলে দুধে ভেজানো জাফরান, কিশমিশ, পেস্তাবাদাম কুচি ও মালাই দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে পেস্তাবাদাম, কিশমিশ ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

ফ্রুট কাস্টার্ড

Image
কাস্টার্ড সস তৈরি: ঘন দুধ ১ লিটার, চিনি ১ কাপ, ডিম ২টি, কাস্টার্ড পাউডার ২ টেবিল-চামচ। ঠান্ডা দুধে সব উপকরণ মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে এবং অনবরত নাড়তে হবে। কাস্টার্ড সস ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে। যেকোনো মিষ্টি ফল ২ কাপ (কলা, পেঁপে, আপেল, আনার), কিশমিশ কুচি ১ টেবিল-চামচ, বাদাম কুচি ১ টেবিল-চামচ, পরিবেশনের সময় সব ফল ও বাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায়। 

পাস্তা পায়েস

Image
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পাস্তা ২ কাপ, ঘন নারকেলের দুধ ১ কাপ, গুড় আধা কাপ (কুচি করা), চিনি ১ টেবিল-চামচ, মাওয়া আধা কাপ। প্রণালি: দুধ ও পানি জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। দুধে বলক এলে তাতে নারকেলের দুধ দিয়ে পাস্তা সেদ্ধ করে নিতে হবে। এতে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল করে গুড় মেশাতে হবে। নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে মাওয়া দিয়ে নামাতে হবে। সাজিয়ে পরিবেশন। টিপস: দুধে গুড় মেশাতে গিয়ে অনেক সময় দুধ ফেটে যায়। তাই গুড় মেশানোর আগে অল্প চিনি দিয়ে জ্বাল করে নিয়ে গুড় মেশাতে হবে বা চুলা থেকে নামিয়ে গুড় মেশাতে হবে।

জিলাপি

Image
উপকরণঃ ময়দা ২ কাপ, খাওয়ার সোডা সিকি চা চামচ, চিনির সিরা ১ কেজি, পানি পরিমাণমতো, তেল পরিমাণমতো। প্রণালীঃ প্রথমে সিরা তৈরি করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। সিরা যেন খুব ঘন কিংবা খুব পাতলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পানি ও ময়দা দিয়ে একটু নরম করে খামির তৈরি করে গরম জায়গায় ২৪ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। এবার খাওয়ার সোডা দিয়ে জিলাপি বানাতে হবে। একটি মোটা কাপড় ছিদ্র করে খামির ঢেলে জিলাপি বানাতে হবে। বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা সিরায় ভেজাতে হবে। রস ঢুকে গেলে তুলে গরম গরম পরিবেশন। জিলাপি তাড়াতাড়ি বানাতে চাইলে ছানার পানি দিয়ে ময়দা মাখতে হবে। এই খামির দিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা পরই জিলাপি বানাতে হবে। তৎক্ষণাৎ জিলাপি বানাতে চাইলে ২ কাপ ময়দা ও ১ চা চামচ হাইড্রোজ দিয়ে মাখিয়ে আধা চা চামচ খাওয়ার সোডা মেশাতে হবে। এরপর জিলাপি বানাতে হবে।